Posts

Showing posts from November, 2013

বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা- গাংনি উপজেলা শাখা অফিস

Image
বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা-  গাংনি উপজেলা শাখা অফিস এখন অবহেলার কারনে দিনে দিনে শেষ হইয়ে যাচ্ছে। অফিসের নাই কোন ব্যাবহার এমন কি পরিস্কার ও করা হয়না। অফিসটি আবার কার্যকরী করে তোলার জন্য কতৃপক্ষকে যথাযত বেবস্থা নেওয়ার অনুরধ জানাচ্ছি। ছবি তুলেচেনঃ- তানভিরুল ইসলাম   from:  https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1426636217551026&set=a.1412973818917266.1073741828.1412940008920647&type=1&theater

৪ টি সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে জামায়াত শিবিরের অবরোধ

Image
৪ টি সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে জামায়াত শিবিরের অবরোধ মেহেরপুরে সড়কে আগুন॥ ৩৩ টি ককটেল বিষ্ফোরণ! মেহেরপুর অফিস : মেহেরপুরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার ৪ টি গুরুত্ব পূর্ন সড়কে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে ও ৩৩ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। ১৮ দলের ডাকা ২য় দিনের হরতাল সফল করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন সড়কের ৪টি স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। হরতালের শুরুতেই সকাল ৬টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের গৌরীনগর, শহরের বন্দর ও কায়েমকাটার মোড় এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। একই সময় শহরের কায়েম কাটার মোড়ে প্রায় ৩৩ টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে ককটেল বিক্ষোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের এসআই কামাল ওই গুলো ককটেল নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন ওইগুলো পটকা জাতীয় জিনিষ। আতংক সৃষ্টির জন্য ওইগুলো জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা রাস্তার উপর ছুড়ে মারে। এছাড়াও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে রাজনগর নামক স্থানে মহিলা জামায়াতের কর্মীরা হ

ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর প্রেস ক্লাব-মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের ইতিহাস

Image
মেহেরপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে। দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক ইসলাম আলী, দৈনিক আজাদের আনছারুল হক, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) মোজাম্মেল হক এবং মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্যসহ আরো কয়েকজন সাংবাদ িককে সংগে নিয়ে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসনের আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায় ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময়ের মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক এ ওয়াই এম আর ওসমানীকে সভাপতি এবং ইসলাম আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই নিয়মেই প্রেসক্লাব পরিচালিত হয়। এরপর ’৮০ সালের প্রথম দিক সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়লেও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। অবশ্য এর মধ্যে একজন মহকুমা প্রশাসক মোমেনুল হকের নাম উল্লেখ করতেই হয়। যিনি প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। আশির দশকে অসংগঠিত সাংবাদিকদের সংগঠিত করা এবং প্রেসক্লাব পূনর্গঠনে এগিয়ে আসেন সাংবাদিক ইসলাম আলী, মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্য, মুহাম্মদ রবীউল আল ম , সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, রুহুল কুদ্দুস টিটো, আব্দুস সালাম খান, আব্দুর রশিদ মজুমদার, আব্দুল মান্নান, এসএম তোযাম্মেল আযম, সদরুল আ

মেহেরপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম-meherpur journalist ashraful islam

Image
               মেহেরপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম-meherpur journalist ashraful islam photo মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দেশ টিভি ও ডেইলি সান-এর মেহেরপুর প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম। তিনি সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক লাভ করেছেন। from: https://www.facebook.com/amadermeherpur

মেহেরপুর মিউনিসিপ্যালিটি

Image
meherpur,meherpur picture, meherpur sadar, অবিভক্ত বাংলায় মেহেরপুর একটি প্রাচীন জনপদ। গঙ্গা-পদ্মার-র শাখা, প্রমত্তা ভৈরব নদের পূর্ব তীরবর্তী এই জনপদের নাম করণের সাথে জড়িয়ে আছে নানা কিংবদন্তি। জগৎখ্যাত নানা মুনি-ঋষি, সাধক মহাপুরুষ আর সাধু-দরবেশের স্মৃতি বিজড়িত এই সুপ্রাচীন জনপদটি ১৮৬ ৯ সালে মিউনিসিপ্যালিটির মর্যাদা লাভ করে। দেশ বিভাগের পূর্ব হতেই মেহেরপুর মহকুমা শহর হিসেবে ইহার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সংগ্রামী ইতিহাসের সাথে বৈদ্যনাথতলা খ্যাত মুজিবনগরকে বুকে ধারন করে এই পৌরসভা স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত হয়। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিগনিত হয়। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এ পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয় এবং ২০০১ সালে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করে।

মেহেরপুর শালিকায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের দাবিতে ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ

Image
মেহেরপুর শালিকায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের দাবিতে ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে সড়ক সংস্কারের দাবিতে ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে গ্রামবাসী। গতকাল শনিবার বিকেলে শালিকা গ্রামবাসী ধ ানের চারা রোপণ ও কোমর সমান পানিতে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায়। জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের দক্ষিণ শালিকার পুরাতন সজিদপাড়ার সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সবসময় থাকে স্যাঁতস্যাতে কাদা ও হাঁটু পানিতে ভরা। সড়কটির অর্ধেক পার্শ্ববর্তী গর্তে মিশে সেটি একটি পুকুরে রূপান্তরিত হয়েছে। ইউপি নির্বাচন থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা ওই এলাকায় ভোট চাইতে গিয়ে প্রথমেই সড়কটি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের পরে সড়কটি সংস্কারের কথা সবাই ভুলে যায়। এলাকাবাসী ওই সড়কটি সংস্কারের দাবিতে কর্দমাক্ত সড়কটিতে ধানের চারা রোপণ করে এবং কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে একে অপরের হাত ধরে মানববন্ধন করে। এলাকাবাসীর দাবি প্রায় এক কিলোমিটার ওই সড়কটি সংস্কার করে এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘব করবে এটাই সকলের প্রত্যাশ

হৃদয়ে মুজিবনগর-mujibnagar history, meherpur

Image
mujibnagar,meherpur, mujibnagar history, meherpur, mujibnagar picture হৃদয়ে মুজিবনগর মো: আব্দুল হাই বাঙালি জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের সূচনাভূমি মুজিবনগর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রতিরোধের প্রথম প্রহর মুজিবনগর। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ পাঠ হয়েছিল এখানেই। সর্বোপরি যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাজধানী মুজিবনগর। তাই নিজের অস্তিত্বকে জানতে জন্মকালীন বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে আবিস্কার করতে এবং আত্মপরিচয়ের সেই ইতিহাসকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুজিবনগর হতে পারে আমাদের সবার কাক্সিক্ষত গন্তব্য। সুপ্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেওয়া যাক মুজিবনগর ভ্রমণের আদ্যোপ্রান্ত। অবস্থান: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জনপদ মুজিবনগর। পূর্ববর্তী প্রশাসনিক বিভাজন অনুযায়ী বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমায় অবস্থিত। বর্তমান প্রশাসনিক পরিচিতি অনুযায়ী মেহেরপুর জেলা, মুজিবনগর উপজেলা। উত্তরে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও ভারত, দক্ষিণে মুজিবনগর উপজেলা ও ভারত, পূর্বে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের অবস্থান। নামকরণ: মুজিবনগরের পূর্ববর্তী নাম ছিল বৈদ্যনাথতলা। ১৯৭

রফিকুর রশীদ : জীবন ও শিল্প সাধনা-

Image
রফিকুর রশীদ : জীবন ও শিল্প সাধনা আবদুল্লাহ আল আমিন sir Rofiqur roshid বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে রফিকুর রশীদের আত্মপ্রকাশ সত্তর দশকের শেষ ভাগে পত্র পত্রিকায় গল্প লেখা দিয়ে। প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘দুঃস্বপ্ন’ রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তায় (অধুনালুপ্ত) ১৯৭৭  সালে ছাপা হয়। তারপর প্রবল অনুরাগ আর নিষ্ঠা নিয়ে সাড়ে তিন দশক ধরে লিখে চলেছেন। এই কাল পর্বে তিনি দু’হাত ভরে লিখেছেন অজ¯্র ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, গান। তবে গল্প লিখতে ভালবাসেন বেশি। বলা যায় এসব কারণে তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে ক্রমশ: অনিবার্য হয়ে উঠেছেন। দেশের প্রথম শ্রেণির অধিকাংশ দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকী, জনপ্রিয় লিটলম্যাগ, ঢাকা-কলকাতার সাহিত্য পত্রিকায় তার লেখা নিয়মিত বের হচ্ছে। সত্তর দশকের শেষ দিকে লেখালেখি শুরু করলেও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান নব্বই দশকের প্রারম্ভে। বহুমাত্রিক সৃজন কুশলতার অধিকারী রফিকুর রশীদ নানা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গল্প ও উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র, জসীমউদ্দীন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের জীবনালেখ্য নিয়ে সুন্দর সুন্দর গল্প লিখেছেন। বাংলা

মোহাম্মদ সহিউদ্দিনঃ বিশিষ্ট সংগঠক, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সহিউদ্দিন (১৯২৩-১৯৯০)

Image
মোহাম্মদ সহিউদ্দিনঃ বিশিষ্ট সংগঠক , সংসদ সদস্য , আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক মোহ াম্মদ সহিউদ্দিন ( ১৯২৩ - ১৯৯০ ) ঃ স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট সংগঠক , সংসদ সদস্য , বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক। তিনি ১৯৭৫ সালে মেহেরপুর জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন। বিভাগপূর্ব মেহেরপুরের তেহট্ট থানার বেতাইলাল গ্রামে তিনি ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস। দেশ বিভাগের পরপরই সহিউদ্দিন মেহেরপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এই দলের সাথে জড়িত হন। তিনি ষাটের দশকে মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ছয় দফা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে মেহেরপুর থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৫ সালে মেহেরপুর জেলার গর্ভনর নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বা

“ভৈরব! এখন আই.সি.ইউ-তে”

Image
“ ভৈরব ! এখন আই . সি . ইউ - তে ” ভৈরব নামের নদীটি এখন আর নাই বললেই চলে। নদীর পরিবর্তে তাকে এখন ভৈরব আবাদ কেন্দ্র অথবা ভৈরব মডেল টাউন বলতে পারি। এটা বলার মূল কারণ হচ্ছে - যে যার মত করে ভৈরবকে দখল করে চাষাবাদ করছে , যেটুকু অংশে পানি দেখা যেতো সেটাও আজ ভরাট। দিনে দিনে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষ নদীর তীরে তৈরী করছে আবাসস্থল এবং সেটাকে আমরা ‘ ভৈরব মডেল টাউন ’ বলতে পারি অনায়াসে। বাংলাদেশের ছোট্ট জেলা শহর মেহেরপুরকে ঢাকার সাথে তুলনা করতে খুব বেশী দিন সময় লাগবে না। তুলনাটি হবে এমনই - সামান্য বৃষ্টিতেই ঢাকা শহর যেমন পানিতে ডুবে যায় , আমাদের স্বপ্নের মেহেরপুর শহরটির অবস্থাও তাই হবে।  

মেহেরপুরের কৃতি সন্তান স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস

Image
                                              মেহেরপুরের কৃতি সন্তান স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস (১৮ আগষ্ট, ১৮৮০- ২৯ নভেম্বর, ১৯৩৫) বর্তমানে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায় কুতুবপুর নামক ছোট গ্রামে এক বাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর নামেও পরিচিত। চৈত ন্য মহাপ্রভুও এই একই জেলায় জন্মগ্রহন করেছিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি পরমহংস শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী দেব নামে পরিচিত হন।

মেহেরপুরে যৌনদস্যুদের থাবায় রক্তাক্ত বাবা..

Image
.মেহেরপুর সংবাদদাতা : ওরা এ পৃথিবীরই। দেখতে ঠিক মানুষের মতোই। অনেকেই মুগ্ধ চোখে চেয়ে থাকে ওদের দিকে। দৃশ্যমান তারুণ্যের সৌন্দর্যও আছে। আছে ওদের স্মার্টনেস, আধুনিকতা। আর তা সমাজের আর পাঁচজনের চেয়ে হয়তো বেশিই। কিন্তু না, ওরা আর দশজনের চেয়ে আ লাদা, অপ্রতিরোধ্য। অনেক সময় ওদের দমানো কিংবা থামানো যায়না। বিশেষত, যখন কোনো সুন্দরী কিশোরী কিংবা তরুণী ওদের চোখে পড়ে, পাশ দিয়ে হেঁটে যায়, ওরা উন্মাদ হয়ে যায়। অন্য এক পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে যায়। যে পৃথিবী ভয়াবহ অমানবিক, পাশবিকতায় পরিপূর্ণ। ওরা হয়ে পড়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য।

বলরাম হাড়ি এবং তাঁর জীবনদর্শন সুধীর চক্রবর্তী

Image
মেহেরপুরের মালোপাড়ার বলরাম হাড়ি এবং তাঁর জীবনদর্শন সুধীর চক্রবর্তী যেয়েও আছে থেকেও নাই / তেমনই তুমি আর আমি রে । বলরাম হাড়ি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চবর্ ণের পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ ঘোষনা করা হয়। সেই মেহেরপুরেরই এক নিম্নবর্গের শূদ্র পুরুষ তুমুল রুখে দাঁড়িয়েছিলেন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ্যবাদীদের শাসনশোষনের বিরুদ্ধে। সময়টা উনিশ শতক। আজকের মেহেরপুর জেলাটি ছিল তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলায়। মেহেরপুর জেলার বুক চিরে বইছে ভৈরব নদী। জেলা সদরটি ছোট। পশ্চিমদিকের মালোপাড়া। সেখানে কয়েক ঘর অন্ত্যজ শ্রেণির বাস। তারা অধিকাংশই জাতে হাড়ি। হাড়িদের পেশা ছিল শুয়োর চরানো , কবিরাজী ওষুধ বিক্রি , লাঠিয়ালগিরি কিংবা দারোয়ানী। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দ। মালোপাড়ায় গোবিন্দ হাড়ি এবং গৌরমণির ঘরে জন্মালেন এক শিশু ; যে শিশুটি কালক্রমে বাংলার লোকধর্মের অন্যতম পুরোধা হয়ে উঠেছিল। শিশুর নাম রাখা হয় বলরাম হাড়ি। জন্মসূত্রে অন্ত্যজ বলেই আজন্ম ব্রাহ্মণ্য শোষন দেখেছে। তাই তাঁর স্পর্শকাতর মনে জন্ম নিয়েছিল প্রচন্ড ব্রাহ্মণ